আমাদের বিদ্যালয়ের ইতিহাস ঐতিহ্য

মুক্তিযোদ্ধা মেজর মোস্তফা কলেজ
পড় তোমার প্রভূর নামে

প্রতিষ্ঠানের ইতিহাসঃ
বীর মুক্তিযোদ্ধা, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী, সমাজ সেবক ও আত্মমানবতার সেবায় নিবেদিত প্রাণ, রোটারিয়ান, মেজর মোহাম্মদ মোস্তফা (অবঃ), চট্টগ্রাম জেলার মিরাসরাই উপজেলার ১০নং মিঠানালা ইউনিয়নের রাজাপুর (হাদিমুছা) গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৪৬ সালের ১৬ জানুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম অলী আহম্মদ এবং মাতার নাম সবুরা খাতুন। শিক্ষাজীবনে শেষে তিনি পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে নন কমিশন পদবীতে যোগদান করেন। মুক্তিযুদ্ধের সূচনা লগ্নে ৩০ শে, মার্চ ১৯৭১ ইং সালে, ১ম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট, যশোর সেনাবাসে চাকুরীরত অবস্থায় বিদ্রোহ করে অস্ত্রের গুদাম ভেঙ্গে অস্ত্র লুট করে খন্ড যুদ্ধে লিপ্ত হয়ে প্রাণ বাঁচিয়ে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। যুদ্ধের প্রথমাংশে ভারতে অফিসার ক্যাডেটশিপ প্রশিক্ষণ শেষে ১ম বাংলাদেশ ওয়ার কোর্সে কমিশন লাভ করে লেপটেন্যান্ট পদবীতে ৮নং সেক্টরের অধীনে ঝিনাইদহ ও মাগুরা জেলাতে গেরিলা যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। মুক্তিযদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় লগ্নে ১৪ই ডিসেম্বর, ১৯৭১ইং তারিখে ৫ ঘটিকায় মিত্র বাহিনীর সহায়তায় পাক হানাদারদের পশ্চিম ও দক্ষিণ এরিয়া কামান্ডার মেজর জেনারেল আনসারী ও তাহার জ্যেষ্ঠ অফিসারবৃন্দ ফরিদপুর সার্কিট হাউজের সম্মুখে, এই বীর মুক্তিযোদ্ধার কাছে আত্মসমপর্ণন করেন। এরই মাধ্যমে দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে মুক্তিদ্ধের সমাপ্তি ঘটে। মহান মুক্তিদ্ধে তার বীরত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ ও অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ তিনি সি-ইন-সি এর প্রশংসা পত্র লাভ করেন। ১৯৭৫ ইং সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে (ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট) মেজর পদবীতে পদোন্নতি লাভ করেন। ১৯৭৬ ইং সালে এক সম্ম্রান্ত মুসলিম পরিবারের কন্যা মিসেস খুরশিদা জাহানের সাথে তিনি বিবাহ বন্দনে আবদ্ব হন।১৯৮২ ইং সালে এই দেশপ্রেমিক মুক্তিযোদ্ধা অফিসার থাকা কালীণ অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পরবর্তী দুই বছর তিনি বাংলাদেশ স্টীল ইঞ্জিনিয়ারিং কর্পোরেশনে ব্যবস্থাপক হিসেবে চুক্তিভিত্তিক চাকুরী করেন। তারপর তিনি স্বীয় উদ্যেগে একাধিক ব্যবসা আরম্ভ করেন এবং অক্লান্ত পরিশ্রম ও অদম্য প্রচেষ্টার মাধ্যমে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। সম-সাময়িক কালে তিনি একজন রোটেরিয়ান হিসেবে বিভিন্ন সামাজিক ও মানব কল্যাণমূলক কাজে আত্মনিয়োগ করেন। স্বীয় জন্মস্থানকে ভালোবেসে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ব হয়ে, নিজগ্রামে ২০১৮ইং সালে “রাজাপুর মেজর মোস্তফা জামে মসজিদ” ২০১৯ইং সালে “মুক্তিযোদ্ধা মেজর মোস্তফা স্কুল” এবং “মুক্তিযোদ্ধা মেজর মোস্তফা কলেজ” প্রতিষ্ঠা করেন।

Copyright © মুক্তিযোদ্ধা মেজর মোস্তফা কলেজ All rights reserved | Developed by Mustafa Rahaman